রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় একজনের জ্বর হলে ৩ জনেরই জ্বর হয়
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি://নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় যমজ তিন ভাই ইমন, লিমন ও সুজন
একসঙ্গে তিন যমজ ছেলে সন্তানের জন্ম দেন চায়না আক্তার। স্বামী ফুল মিয়া কৃষিশ্রমিক। আট বছর আগে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন যমজ সন্তানের জন্ম হয়। তখন থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার যে আনন্দ, সে আনন্দের বদলে বিষাদের সৃষ্টি হয়েছে। তিনটি সন্তানকে লালন-পালন করতে গিয়ে মা চায়না আক্তার ও বাবা ফুল মিয়া পরিশ্রান্ত। মা-বাবার কাঁধে আজ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে তিন যমজ ছেলে সন্তান।
চায়না আক্তার জানান, তিন সন্তানের আগেও তাদের এক ছেলে এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। যমজ তিন সন্তান একসঙ্গে জন্ম নেওয়ার পর থেকেই তাদের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তখন সেসব সমস্যা কাটিয়ে তুলতে ধারদেনা করে লক্ষাধিক টাকা খরচ করতে হয়েছে।
আট বছর ধরে তাদের ভরনপোষণ করতে গিয়ে আমরা আজ ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। তারা তিন ছেলের নাম রাখেন ইমন, লিমন ও সুজন। একসঙ্গে তারা খেলা করে। তাদের শারীরিক অসুখ-বিসুখ সারাবছর লেগেই আছে। একজনের জ্বর হলে তিনজনের একসঙ্গে জ্বর হয়। তাদের ভরনপোষণ করতে গিয়ে আমাদের যা সহায়-সম্পদ ছিল, সব বিক্রি করে দিয়েছি। এখন শুধু আছে ভিটে বাড়িটুকু।
কেন্দুয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইউনুস রহমান বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে তাদের সহযোগিতার জন্য আপাতত আমার কিছু জানা নেই। তবে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকলে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ওষুধপথ্য দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মইনউদ্দিন খন্দকার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে কী সহযোগিতা করা যায়, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
০৯.০৯.২০২১